রুই মাছ

About/সম্পর্কে

রুই মাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Labeo rohita) বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মিঠা পানির মাছ। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে পাওয়া যায়। রুই মাছের দেহ অনেকটা মাকু আকৃতির। মাথা ও লেজ ক্রমশ সরু। প্রস্থ থেকে উচ্চতা বেশি। চলনের সময় জলের ভেতর গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় না বলে এ ধরনের আকৃতিকে “স্ট্রিমলাইনড” বলে।[৪] শরীরের দুপাশ সমানভাবে চ্যাপ্টা এবং সারা শরীর রূপালী আঁশ দিয়ে আবৃত থাকে। আঁশগুলো মসৃণ ও সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো থাকে। ধুসর বর্ণের পাখনার এই মাছের পৃষ্ঠদেশের আঁশের কেন্দ্র লালাভ এবং প্রান্ত কালো বর্ণের হয়ে থাকে। আঁশের কেন্দ্রের এই লালাভ বর্ণ প্রজনন ঋতুতে আরও গাঢ় ও উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও অধিক জলজ উদ্ভিদময় পরিবেশে বেড়ে ওঠা মাছের পৃষ্ঠদেশের বর্ণ লালাভ-সবুজ হতে পারে। এদের পিঠ ও পিঠের নিচের দিকটা বাদামি রঙের এবং পেট রুপালি সাদা রঙের হয়৷ মুখ নিচের দিকে নামানো থাকে এবং পুরু ঠোট ভিতরের দিকে ভাঁজ হয়ে থাকে৷ মুখের উপরে ঠোঁটে এক জোড়া গোঁফ থাকে। রুই মাছ সর্বোচ্চ ২০০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।এরা সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে এবং ওজন ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে

খাদ্য অভ্যাস : রুই মাছ শাকাশী। এরা সাধারণত জলের মধ্যস্তরে চলাচল করে৷ এদের মুখ কিছুটা নিচের দিকে নামানো এবং পুরু ঠোঁট থাকার কারণে জলজ উদ্ভিদ, আগাছা এবং মাঝে মাঝে জলের তলদেশ থেকে কীট পত্ঙ্গ, কেঁচো ও পঁচা জৈব পদার্থ খেয়ে জীবনধারণ করে৷ এছাড়াও ফিসমিল, খৈলের গুড়া, কুঁড়া ইত্যাদি পুকুরে চাষের সময় সম্পূরক খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তবে ছোট অবস্থায় এদের প্রধান খাদ্য থাকে প্রাণীকণা বা প্লাংকটন।
প্রজনন : রুই মাছ দুই থেকে তিন বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। বর্ষাকালে প্লাবিত নদীতে (বিশেষত জলজ উদ্ভিদময় স্থানে) রুই মাছ প্রজননে অংশ নেয়। এক প্রজনন ঋতুতে একটি মা মাছ প্রায় দুই থেকে ত্রিশ লাখ ডিম দিয়ে থাকে, যা মাছের বয়স, দৈর্ঘ্য ও ওজনের এবং অমরার দৈর্ঘ্য ও ওজনের উপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে। এছাড়া কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে হ্যাসারীতে পোনা উৎপাদন হয়ে থাকে ।
চার: ভাত-কুঁড়া, সরিষার খৈল পঁচা, মিষ্টি চার রুই মাছের খুব প্রিয়।
টোপ : টোপ হিসেবে পিঁপড়ের ডিম,পাউরুটি, ব্যবহার করা হয়। বল্লার র্লাভা ও কেঁচো খেতে পছন্দ করে।তবে ওরা যেখানে বাস করে ওখানকার খাদ্যাভ্যাস জেনে টোপ তৈরী করলে সফলতা বেশি লাভ করা যায়।
খাদ্য অভ্যাসের ধরন
তৃণভোজী (Herbivores) – এরা তৃণভোজী মাছ। সাধারনত গাছপালা, জলজ আগাছা,উদ্ভিদ কনা (plankton), শস্য কনা খায়।, সর্বভুক (Omnivores)- সর্বভুক মাছ প্রায় সব কিছু খায়। এরা উদ্ভিদের পাশাপাশি শষ্য কণা জলজ পরিবেশের ছোট প্রাণী ও বিভিন্ন প্রানীর মরা দেহ খায়।
মাছ ধরতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
ছিপের দৈর্ঘ্য : 8-10ft
ছিপের সক্ষমতা : হালকা-মাঝারি (Light-Medium)
মেশিন বা চাকা : Spincast
সুতা : Monofilament
বর্শির ধরন : Spinning
অ্যাঙ্গলিং পদ্ধতি : Spinning
লিডার : ৫” থেকে ১০” ইঞ্চি
ভারা বা সিসা : আপনি কতটা দূরত্বে ফেলবেন তার উপর র্নিভর করে

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

বৈজ্ঞানিক নাম : Labeo rohita
স্থানীয় নাম : বাংলাদেশ ও ভারতে বহুল পরিচিত মাছগুলোর মধ্যে একটি। আন্তর্জাতিকভাবে রুই মাছের নাম বলা হয়ে থাকে রোহু। স্থানীয় নাম রুই, রোহিতা, রুহিত, রাউ, নলা, গরমা, নওসি।
গড় দৈর্ঘ্য : ২ মিটার
গড় ওজন : ৪৫ কেজি
মাছ ধরার উত্তম সময় : সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত- Morning – Evening (3.30 PM- Until Sunset)
মাছ ধরার প্রয়োজনীয় দক্ষতা : একটি হুক টোপ (Baiting a Hook), সঠিক কাস্টিং কৌশল (Proper Casting Techniques)
সংরক্ষণের অবস্থা : Least Concern(LC)